Watch full news click linkhttps://bitly.ws/3adYe
সীমাবদ্ধতা ও আশার ফানুস উড়িয়ে বিপিএল
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততায় ডুব দিতে চলেছে বিশ্ব ক্রিকেট। আগে থেকেই চলছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল)। আগামীকাল (১৯ জানুয়ারি) থেকে সেই দৌড়ে যোগ দেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ (আইএল টি-টোয়েন্টি)। বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী দিনে শুক্রবার মাঠে নামছে চারটি দল। উদ্বোধনী ম্যাচে দুপুর আড়াইটায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং দুর্দান্ত ঢাকা মুখোমুখি হবে।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যাচের আগের দিন আজ (বৃহস্পতিবার) দলগুলো নিজেদের লক্ষ্য ও সামর্থ্যের কথা জানিয়েছে। এখনও বেশিরভাগ দলেরই বিদেশি ক্রিকেটাররা বাংলাদেশে আসেননি। এরপর এলেও, একই সময়ে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চলমান থাকায় তারা থাকবেন আসা-যাওয়ার মাঝে।
২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া বিপিএলের প্রতি আসরই নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা যেন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিবারই মালিকানা বদলায় কয়েকটি দলের। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ভালো দিক ছিল টুর্নামেন্টের প্রায় দুই মাস আগে দল চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেরদিন অনুশীলনের জন্য মিরপুরে একটি দলের খেলোয়াড়দের কিট ব্যাগ এলো ভ্যানে চেপে। যা অতীতে কখনোই দেখা যায়নি। টিম বাসেও নেই রঙের ছোঁয়া। এত আগে প্লেয়ার্স ড্রাফটের পরও দলগুলো যেন অপ্রস্তুত। সব দলের অধিনায়কের তালিকা পাওয়া গেছে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেভাগে। সপ্তাহখানেক অনুশীলন করেই সাতটি দল মাঠের লড়াইয়ে নেমে পড়ছে।
বিপিএলের আসরগুলোতে ঘুরেফিরে যে বিতর্কগুলো দেখা যায়, তা হচ্ছে— আম্পায়ারিং, মিরপুরের উইকেট, ধারাভাষ্য ও সম্প্রচারের মান। যা নিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালে আলোচনা হলেও, পরে আর সমাধানের মুখ দেখা যায় না। তবে এবার অবশ্য সম্প্রচারের দিক থেকে আভাস মিলেছে ভালো কিছুর। প্রথমবার বিপিএলে ব্যবহার করা হবে বাগিক্যাম। চার চাকার ডিভাইসটি বাউন্ডারি লাইন থেকে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ফুটেজ সংগ্রহ করবে।
এদিকে, এবার টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ঠিক হয়েছে শেষ সময়ে এসে। নির্দিষ্ট একটা টাইটেল স্পন্সর লম্বা সময় না থাকায় টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ডও দাঁড়াচ্ছে না। টিভি সত্ত্বে আয়ের দিক থেকে পাকিস্তান সুপার লিগেরও (পিএসএলের) অনেক নিচে বিপিএল। অথচ বিপিএল শুরু হয় পিএসএলেরও আগে। এর পেছনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের অজুহাত দিয়ে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘সারা বিশ্বেই একটা অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে। আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বাদ দিলে (কেউ ভালো নেই)। বোর্ডের সিদ্ধান্ত এরকমই যে আমাদের টুর্নামেন্টটাকে আমাদের দেশীয় স্টাইলেই চালাতে চাই। আমরা এরকম কোনো কিছু (বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন আনা) করতে চাই না যে টুর্নামেন্টের রাইটসটা আমাদের হাতে থাকবে না। অন্য কারও কাছে রাইটসটা চলে যাবে।’
No comments:
Post a Comment